কর্তব‍্যরত অবস্থায় শ্রমিকের মৃত‍্যু ঘিরে উত্তেজনা , নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

8th November 2020 10:25 am বাঁকুড়া
কর্তব‍্যরত অবস্থায় শ্রমিকের মৃত‍্যু ঘিরে উত্তেজনা , নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে কর্তব্যরত অবস্থায় ফের শ্রমিক মৃত্যু, মৃত শ্রমিকের নাম গদাধর মাজি (৫৫)। সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউচা গ্রামের বাসিন্দা গদাধর মাজি প্রতিদিনের মতো গতকাল দুপুরে বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের বিডি কোয়েল নামক একটি বেসরকারি কারখানায় কাজে যোগ দেন।সেই সময় কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি কুড়ি ফুট উঁচু থেকে মাটিতে পড়ে যান। তড়িঘড়ি তাকে  বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত শ্রমিকের পরিবার কারখানার নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। মৃত শ্রমিকের সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবিও তুলেছেন তারা। নায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন মৃত শ্রমিকের পরিবার। মৃত শ্রমিকের পরিবারে দাবিতে সহমত বিজেপির শ্রমিক সংগঠন BJMTU। তারাও কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকের গাফিলতি দিকটি জনসমক্ষে তুলে ধরেন।
মৃত শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছে বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অলোক মুখার্জি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান মৃত শ্রমিকের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের তারা ব্যবস্থা করবেন। আর যদি কারখানা কর্তৃপক্ষ দিতে তা অস্বীকার করে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। মৃতদেহটিকে বড়জোড়া থানার পুলিশ আজ ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাবে।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।